Breaking News
recent

রগে টান লাগার কারন, চিকিৎসা এবং করনীয়:::::

 রগে টান লাগার কারন, চিকিৎসা এবং করনীয়:::::

রগে টান লাগা এক বা একাধিক মাংসপেশীর আকস্মিক এবং অনিয়ন্ত্রিত সংকোচন। নিয়মতান্ত্রিক জীবনে হঠাৎ করেই পা, হাত অথবা ঘাড়ের মাংসপেশীতে টান লাগার কারনে আপনি গুরুতর ব্যথা অনুভব করছেন। এছাড়াও এরকম অবস্থায় পা, হাত অথবা ঘাড় নাড়াচাড়া করা সম্ভব হয় না। এমনকি তখন ঘাড়, হাত বা পা সোজা করতে গেলে মাংসপেশীতে আরও টান লেগে যায়। এটি ঘুমের মধ্যে বা জেগে থাকা অবস্থাতেও হতে পারে। তবে ঘুমন্ত অবস্থায় এটি বেশি হয়ে থাকে।

রগে টান লাগার কারন::
বিভিন্ন কারনে মাংসপেশীতে টান লাগতে পারে। এর মধ্যে সাধারন কিছু কারন রয়েছে যা ডাক্তাররা সচারচর আমাদেরকে বলে থাকেন-
# দীর্ঘস্থায়ী ব্যায়াম
# শারীরিক শ্রম
# গরম আবহাওয়াতে পেশী সংকোচন হতে পারে
# কিছু ঔষধ এবং নির্দিষ্ট চিকিত্সাগত রোগের কারণে পেশী সংকোচন হতে পারে
# পানিশূন্যতা
# কোনো ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারনেও হতে পারে
# ধূমপান
# অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করলেও এই সমস্যা হয়
# মদ্পান
# গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন স্নায়ুতে চাপ পড়ে বলে প্রায়ই টান লাগে।
# হাইপোথাইরয়েডিজম
#হাইপারটেনশন
# কিডনি ফেইলর
# ডায়াবেটিক ও কোলেস্টেরলের রোগীদেরও এই সমস্যা হতে পারে
# মেন্সট্রুয়েসন
# শরীরে পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলে
# বেশি পরিশ্রমের কারণে হতে পারে
# ভিটামিনের অভাবে- বিশেষ করে ভিটামিন বি-১, বি-৫, বি-৬
# একভাবে দীর্ঘ সময় ধরে বসা বা দাঁড়িয়ে থাকা।
# স্নায়ু বা মাংসপেশীতে আঘাত
যদিও মাংসপেশীতে টান লাগা খুব গুরুতর রোগ নয়, তবে মাঝে মধ্যে তা গুরুতর হতে পারে যেসব ক্ষেত্রে-
#$# অপর্যাপ্ত রক্ত ​​সরবরাহ::
আপনার শরীরে রক্ত ​​সরবরাহ যদি পর্যাপ্ত পরিমানে না হয়ে থাকে তাহলে মাংসপেশীতে টান লাগার পর তা ঠিক হতে সমস্যা অনুভূত হতে পারে।
#$# নার্ভ কম্প্রেশন::
আপনার মেরুদণ্ড এর মধ্যে স্নায়ু সংকোচন হতে পারে। যার ফলে আপনি পায়ে রগে টান খাওয়া অনুভব করতে পারেন। এতে করে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। এমনকি পা সোজা করতে অক্ষম হবেন।
#$# খনিজ হ্রাস::
আপনার খাদ্যতে যদি পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতি পরে, তাহলে আপনারও হাতে বা পায়ের রগে টান লাগতে পারে। এক্ষেত্রে জটিল সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
প্রতিরোধের উপায়:
এই পদক্ষেপগুলো প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে-
1) হাত বা পা সোজা করে ফেলতে হবে।
2) হাত দিয়ে পায়ের আঙুলের মাথাগুলো আপনার দিকে টানুন।
3) পেশীতে হালকা মালিশ করতে থাকুন।
4) ঘাড়ে হলে সোজা হয়ে বালিশ ছাড়া শুয়ে পড়ুন।
5) উরুর সামনের দিকে হলে পা ভাঁজ করে ফেলুন।
6) যদি উরুর পেছনের দিকে হয় তাহলে উপর হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা ভাঁজ করে হাটুঁ যতটুকু     সম্ভব আপনার বুকের দিকে নিয়ে আসুন।
7) ওয়াটার ব্যাগ বা হট ব্যাগের মাধ্যমে কিছুক্ষণ গরম সেঁক দিন।
ফুলে গেলে আইসব্যাগ ব্যবহার করুন।
9) মুভ বা ভিক্সজাতীয় ব্যথানাশক বাম বা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
10) ধূমপান বা মদ্পান বাদ দিতে হবে।
11) পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম বা ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে।
12) অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
    ঔষধ ব্যবহারের আগে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া গুলো দেখে নিন।
13) অতিরিক্ত পরিশ্রম করবেন না।
14) যে পায়ের পেশিতে টান পড়বে, দ্রুত সেই পায়ের পেশিকে শিথিলায়ন বা রিলাক্স করতে     হবে। এতে পেশি প্রসারিত হবে এবং আপনি আরাম পাবেন। এতে করে আস্তে আস্তে        আপনার ব্যথাও কমে যাবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং সুস্থ থাকুন।

No comments:

Powered by Blogger.