Breaking News
recent

খুলনা ভ্রমণ

খুলনা জেলা  বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের  খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন খুলনা জেলায় অবস্থিত। এ ছাড়াও খুলনা জেলায় রয়েছে অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য। অন্যদিকে শিল্প কারখানা ও ব্যবসা বাণিজ্যে খুলনার সুখ্যাতি সর্বজনবিধিত। ঢাকা থেকে খুলনা যেতে সময় লাগে  ৮/৯ ঘন্টা।  

অবস্থান :
 খুলনা জেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল, পশ্চিমে যশোর ও  দক্ষিনে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

যাতায়াত পদ্ধতি 
ঢাকা থেকে খুলনা  সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়াত  করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে খুলনা জেলায় সড়ক পথে যাতায়েত করতে সময় লাগে ৮ থেকে ৯ঘন্টা, তবে ফেরী পারাপারের সময় যানজট থাকলে সময় বেশী লাগে। অনেকে আবার সড়ক পথ ছাড়াও ট্র্রেনে যাতায়াত করে থাকে।

ঢাকা থেকে খুলনার  ভাড়া
গাবতলী ও সায়েদাবাদ টার্মিনাল  থেকে বেশ কয়েকটি বাস খুলনার উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। এ সব বাস গুলোর মধ্যে পর্যটক পরিবহন, দিগন্ত পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, সুন্দরবন সার্ভিস প্রা: লি:  দ্রুতি পরিবহন, আরা  পরিবহন ও সোহাগ পরিবহন অন্যতম। নিচে কয়েকটি বাসের ভাড়া দেওয়া হল।

পর্যটক পরিবহন
কাউন্টার
যোগাযোগ
সায়েদাবাদ
০১৭৪৬৪৮৭১৮১
০১৭১৯৮১৩০০৪
০১৭১২২৮১৬০১
মিরপুর-১০
০১৭২৫১২১০০৯
বাইপাল
০১৭১৩২৬২৮৪৯
আব্দুল্লাহপুর
০২-৮৯১২১৭৪
০১৭১১৩৯৩৩৯৬
০১৭১১২০৭৬৮৬
নর্দা-বারিধারা
০২-৯৮৮৮৮৬১

গন্তব্য ও ভাড়া
গন্তব্য
ভাড়া
খুলনা
৪০০/-
রায়েন্দা
৫২০/-
সোনাডাংগা
৪২০/-

সুন্দরবন সার্ভিস প্রা: লি:
ঢাকাস্থ বুকিং অফিস
  • সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল। মোবাইল +৮৮-০১৬৭৫-৯৪৩৫৭৮
  • জনপথ পূর্বপাড় +৮৮-০১৮১৮-৫২৯০০৮, ০১৬৭২-৭৫৫৩৩৮
  • জনপথ মোড় পূর্বপাড় +৮৮-০১৭২০-২২০২৭২, ০১৯২০-২২২৫৭১
  • জনপথ মোড় পূর্বপাড় +৮৮-০১৭২০-২২০২৭২

গন্তব্য ও ভাড়া
গন্তব্য
ভাড়া (টাকা)
মংলা
৩০০ টাকা
ফকিরহাট
৩০০ টাকা
খুলনা
৩০০ টাকা

লঞ্চ পারাপার
খুলনা রুটের অনেক গাড়ী লঞ্চে যাত্রী পারাপার করে থাকে। লঞ্চে যাতায়াত করলে সময় ও অর্থ দুটোই কম লাগে।

ট্রেনে ভ্রমণ  
কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে যমুনা সেতু  হয়ে খুলনা  ট্রেন যোগে ভ্রমণ করা যায়। এই রুটের ট্রেন গুলোর মধ্যে চিত্রা, তূর্ণা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস এর মধ্যে অন্যতম।

ট্রেনের নাম
ভাড়া
সুন্দর বন এক্সপ্রেস
মোবাইল নম্বর:+৮৮- ০১৭১১-৬৯১৬১২, ০২-৯৩৩১৮২২
৩৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা।

যাত্রা পথে পড়বে  চোখে
ঢাকা থেকে খুলনা  যাওয়ার পথে সাভার স্বৃতিসৌধ, সাভার ক্যান্টনমেন্ট, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় , মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, যশোর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল জেলার বিভিন্ন দর্শণীয় স্থান চোখে পড়বে।

আবাসিক হোটেল
আবাসিক হোটেলের নাম মোবাইল নম্বর
 সি এস এস রেষ্ট হাউজফোনঃ০৪১-৭২২৩৫৫
এলজিইডি রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭২৩১৮৩
৭২২১৮৯
কারিতাস রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭২২৯০৬
বিআইডব্লিউটিসি রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭২৫৯৭৮
৭৩২৩৫৪
ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাঃ রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭২১৩৩৬
খুলনা সিটি কর্পোরেশন রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭২০৪০৯
৮১০৬৪৩
বাংলাদেশ ব্যাংক রেষ্ট হাউজফোনঃ ৮১৩৮০৫
পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ফোনঃ ৭৬২৪০৮
পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনফোনঃ ৭৬১৮৫৪
বিআইডব্লিউটিসি রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭২১৫৩২
৭২৫৯৭৮
প্লাটিনাম জুট মিলস লিঃ রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭৬০২৯৫
৭৬২৩৩৫
ক্রিসেন্ট জুট মিলস লিঃ রেষ্ট হাউজফোনঃ ৭৬২২৩৭
৭৬০২৮৪
খুলনা নিউজপ্রিন্ট মিলস লিঃফোনঃ ৭৬২৫৪৭
৭৬০১৮৪
গোয়ালপাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রফোনঃ ৭৬২৩১১
৭৬০০১৯

দর্শণীয় স্থান
খুলনা জেলায় অনেক দর্শণীয় স্থান  রয়েছে। যে স্থান গুলো প্রতিনিয়ত দর্শকদের আকর্ষণ করে থাক। নিচে স্থান গুলোর নাম দেওয়া হল।
সুন্দরবন  
সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বনভূমি সুন্দরবন। অববাহিকার সমুদ্রমূখী সীমানা এই বনভূমি গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মোহনায় অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিস্তৃত। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে।

দক্ষিণডিহি  
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূণ্যস্মৃতিবিজড়িত স্থান দক্ষিণডিহি। ফুল,ফল আর বিচিত্র গাছগাছালিতে ঠাসা সৌম্য-শান্ত গ্রাম দক্ষিণডিহি। খুলনা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ফুলতলা উপজেলা। উপজেলা সদর থেকে তিন কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে গেলে দক্ষিণডিহি গ্রাম। গ্রামের ঠিক মধ্যখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে রবীন্দ্র-মৃণালিনীর স্মৃতিধন্য একটি দোতলা ভবন। এটাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরবাড়ি।

পিঠাভোগ 
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – এর পূর্ব পুরুষের নিবাস খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে। খুলনা আঞ্চলিক প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর এর পরীক্ষামূলক সমীক্ষায় পিঠাভোগ গ্রামে রবীন্দ্রনাথের পূর্ব পুরুষের ভিটার ভিত্তিপ্রস্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখানে কবিগুরুর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবছর এখানে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে।

রাড়ুলী
বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (পি,সি,রায়)– এর জন্মভূমি। ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী রাড়ুলীতে স্যার পি.সি. রায় জন্ম গ্রহণ করে ছিলেন।
পি,সি,রায় ছিলেন একাধারে বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও শিল্পী। সমাজ সংস্কারে মানবতা বোধে উজ্জীবিত ছিলেন তিনি। তদানিন্তন সময়ে পল্লী মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায় ব্যাংক পদ্ধতি চালু করেন। ১৯০৯ সালে নিজ জন্মভূমিতে কো-অপারেটিভ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। চারটি গ্রামের নাম মিলে ১৯০৩ সালে বিজ্ঞানী স্যার পি,সি,রায় দক্ষিণ বাংলায় প্রথম আর,কে,বি,কে হরিশচন্দ্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন।

সেনহাটি
খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রাম কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্মস্থান। বাংলা সাহিত্যে কবির ‘দুটি কবিতা’ শীর্ষক ক্ষু্দ্র কবিতাটি কালজয়ী স্থান পেয়েছে। ‘যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি’ কিংবা ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বূঝিতে পারে’ কবিতা বাঙালি জীবনে অবশ্যপাঠ্য হিসেবে বিবেচিত।

বকুলতলা,জেলা প্রশাসকের বাংলো
বাংলা সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – এর স্মৃতিধণ্য খুলনার জেলা প্রশাসকের বাংলো। ১৮৬০-১৮৬৪ সাল খুলনার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর থাকাকালীন সময়ে এই বাংলোই ছিল তাঁর বাসস্থান। ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত এই বাংলোর বকুলতলায় বসেই কবি রচনা করেছিলেন তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রেমের উপন্যাস ‘কপালকুন্ডলা’।

No comments:

Powered by Blogger.