Breaking News
recent

অজানা অজৈব লবনের ধারাবাহিক বিশ্লেষণ (ZnSO4)

অজানা অজৈব লবণের সনাক্তকরণ (Indentification of Inorganic Salts) Part 2

Image result for অজানা অজৈব লবনের ধারাবাহিক বিশ্লেষণ (ZnSO4)


নমুনাঃ ৩


ভৌত অবস্থা
বর্ণঃ নীলাভ ও বাদামী
গন্ধঃ অজৈব প্রকৃতির
অবস্থাঃ কঠিন দানাদার
দ্রাব্যতাঃ পাতিত পানিতে দ্রবণীয়

ক্ষারকীয় মূলকের শুষ্ক পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। টেস্টটিউব পরীক্ষাঃ একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমান শুষ্ক লবণ নিয়ে বুনসেন বার্নারের অনুজ্জ্বল শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
১। উত্তপ্ত অবস্থায় কালো ও শীতল অবস্থায় বাদামী বর্ণ ধারণ করল।
১।Fe হতে পারে।
২। কার্বন বিজারণ পরীক্ষাঃ কার্বন খন্ডের গর্তে সামান্য নমুনা ও দ্বিগুন পরিমাণ Na2CO3 মিশ্রিত করে সামান্য পানি দ্বারা সিক্ত করে ফুঁৎনলের সাহায্যে বিজারণ শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
২। কালো বর্ণের পিন্ড পাওয়া গেল যা চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয়।
২।Ni হতে পারে।
৩। কার্বন জারণ পরীক্ষাঃ কার্বন খন্ডের গর্তে সামান্য নমুনা ও দ্বিগুন পরিমাণ  Na2CO3 মিশ্রিত করে সামান্য পানি দ্বারা সিক্ত করে ফুঁৎনলের সাহায্যে জারণ শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
৩। অবিগলিত রঙিন অবশেষ পাওয়া গেল।
৩।Ni হতে পারে।
৪। শিখা পরীক্ষাঃ গাঢ় HCl এ সিক্ত প্লটিনাম তারকে দীপ্তিহীন শিখায় উত্তপ্ত করে পুনরায় গাঢ় HCl দ্বারা সিক্ত করে তাতে সামান্য নমুনা লবণ লাগিয়ে দীপ্তিহীন শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
৪। কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেল না।
৪।Ca,Cu,Na অনুপস্থিত।
৬। সোডালাইম পরীক্ষাঃ একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ সোডালাইম সহ ভালভাবে উত্তপ্ত করলাম।
৬। কোন ঝাঁঝালো গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেল না।
৬। NH+4 নাই।

ক্ষারকীয় মূলকের সিক্ত পরীক্ষাঃ

মূল দ্রবণ প্রস্তুতিঃ একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে পাতিত পানি দ্বারা ঝাঁকিয়ে দ্রবীভূত করে দ্রবণ প্রস্তুত করলাম।

ক্ষারকীয় মূলক সমূহের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্তি করণঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ মূল দ্রবণ নিয়ে তাতে সামান্য লঘু HCl যোগ করলাম।
১। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
১।I নং গ্রুপ অনুপস্থিত।
২। উপরোক্ত দ্রবণকে মৃদু গরম করে তাতে সামান্য লঘু HCl ও H2S গ্যাস চালনা করলাম।
২। কালো বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
২। II গ্রুপ অনুপস্থিত।

বাধাদানকারী অম্লীয় মূলকের পরীক্ষাঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
(ক) একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ গ্রুপ II এর পরিশ্রুত দ্রবণকে ফুটিয়ে H2S দুরীভূত করে ২-৩ সি.সি. গাঢ় HNO3 ও অ্যামোনিয়াম মলিবডেট যোগ করে উত্তপ্ত করলাম।
(ক) কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
(ক)PO43-,AsO43- নাই।
(খ) একটি চিনামাটির বেসিনে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে ১ সি.সি. গাঢ় H2SO4 ও ৫সি.সি. ইথানল যোগ করে ভালভাবে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করলাম।এতে আগুন ধরিয়ে লক্ষ্য করলাম।
(খ) সবুজ অগ্নিশিখা দেখা গেল না।
(খ) BO33- নাই।

ক্ষারকীয় মূলক সমূহের অন্যান্য গ্রুপে বিভক্তি করণঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
৩। গ্রপ II এ প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণকে ফুটিয়ে H2S দুরীভূত করে তাতে ৪-৫ ফোঁটা লঘু HNO3 যোগ করে ফুটানো হলো। পরে তাতে কঠিন NH4Cl যোগ করে ঝাঁকানো হলো এবং NH4OH যোগ করা হলো।
৩। বাদামী বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
৩। IIIA গ্রুপ উপস্থিত।
৪। উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত অধঃক্ষেপ ফিল্টার করে প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণে  NH4Cl ও NH4OH যোগ করে ঝাঁকানোর পর তাতে H2S গ্যাস চালনা করা হলো।
৪। কালো বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
৪। IIIB গ্রুপ উপস্থিত।
৫।উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত দ্রবণকে তাপ দ্বারা ফুটিয়ে H2S দূর করা হলো এবং তাতে  NH4ClNH4OH ও (NH4)2CO3 দ্রবণ যোগ করা হলো।
৫।কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৫। গ্রুপ IV অনুপস্থিত।
৬।উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত দ্রবণকে দুইভাগ করে প্রথম ভাগে সামান্য NH4Cl ও NH4OH যোগ করে তাতে Na2HPO4 যোগ করে ঝাঁকানো হলো। অপর অংশে পটাশিয়াম পাইরো এন্টিমোনেট যোগ করা হলো
৬।(ক)কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৬।(ক)Mg2+ অনুপস্থিত।
(খ) কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৬।(খ) Na+ অনুপস্থিত।
৭।একটি টেস্টটিউবে খুব অল্প পরিমাণ মূল দ্রবণ নিয়ে তাতে ১-২ সি.সি. নেসলার বিকারক যোগ করা হলো।
৭। কোন অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হলো না।
৭। NH4+ নাই।

ক্ষারকীয় মূলকসমূহের সুনিশ্চিত পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। গ্রুপ IIIA এ প্রাপ্ত বাদামী অধঃক্ষেপকে একটি পরীক্ষানলে নিয়ে তাতে ৩-৪ সি.সি. লঘু HCl যোগ ঝাঁকানো হলো।
১। অধঃক্ষেপটি দ্রবীভূত হলো।
১। Fe2+  বা Fe3+ থাকতে পারে।
২। উপরোক্ত দ্রবণের সামান্য পরিমাণ নিয়ে তাতে NH4CNS দ্রবণ যোগ করা হলো।
২। রক্তের ন্যায় লাল অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
২।  Fe2+  বা Fe3+ থাকতে পারে।
৩। ১নং এ প্রাপ্ত দ্রবণের সামান্য পরিমাণ নিয়ে তাতে K4[Fe(CN)6] দ্রবণ যোগ করা হলো।
৩। অধঃক্ষেপটি দ্রবীভূত হলো।
৩। Fe2+  বা Fe3+ থাকতে পারে।
৪।গ্রুপ IIIB এ প্রাপ্ত কালো অধঃক্ষেপকে গাঢ় HCl দ্বারা তাপ দিয়ে দ্রবীভূত করা বলো। উক্ত দ্রবণে পাতিত পানি দিয়ে লঘু করে তাতে অতিরিক্ত পরিমাণ NH4OH যোগ করে ডাইমিথাইল গ্লাই অক্সাইম যোগ করা হলো।
৪। উজ্জ্বল লাল বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
৪। Ni2+  মূলক সুনিশিচত।

 

Fe2+/Fe3+ এর পার্থক্যঃ

একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ মূল দ্রবণ নিয়ে তাতে NH4CNS দ্রবণ যোগ করা হলো। ফলে রক্তের ন্যায় লাল অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল। সুতরাং Fe3+ মূলক সুনিশিচত।

অম্লীয় মূলক সমূহের শুষ্ক পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে লঘু HCl যোগ করা হলো।
১। কোন গ্যাসের বুদবুদ উৎপন্ন হলো না।
১। CO32- (কার্বনেট) মূলক অনুপস্থিত।
২।একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে গাঢ় H2SO4 যোগ করে তাপ দেওয়া হলো।
২। সাদা ঝাঁঝালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হলো, NH4OH দ্বারা সিক্ত কাঁচদণ্ড সাদা ধোঁয়ার উপর ধরলে গাঢ় সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি হলো।
২। Cl (ক্লোরাইড) মূলক থাকতে পারে।
৩। একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে গাঢ় H2SO4 ও কপার চুর্ণ যোগ করে উত্তপ্ত করা হলো।
৩। বাদামী ধোঁয়া উৎপন্ন হলো।
৩। NO3 (নাইট্রেট) মূলক থাকতে পারে।
৪। সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ, দ্বিগুণ পরিমাণ Na2CO3 এরসাথে মিশ্রিত করে চারকোল ব্লকে বিজারণ শিখায় উত্তপ্ত করে বিগলিত বস্তুতে লঘু যোগ করা হলো।
৪। পচা ডিমের ন্যায় গন্ধযুক্ত গ্যাস বের হলো না।
৪। SO42- (সালফেট) মূলক অনুপস্থিত।

অম্লীয় মূলক সমূহের সিক্ত ও সুনিশ্চিত পরীক্ষা:

    অম্লীয় মূলকের সুনিশ্চিত পরীক্ষার জন্য Na2CO3দ্বারা নমুনা লবণের নির্যাস দ্রবণ প্রস্তুত করা প্রয়োজন। একটি বিকারে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে তার চারগুণ পরিমাণ Na2COযোগ করা হলো। পরে এতে পাতিত পানি যোগ করে উত্তমরূপে ১০/১৫ মিনিট ফুটানো হলো। এবার মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করে ফিল্টার করা হলো। প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণই নির্যাস দ্রবণ। এই দ্রব্ণ নিয়ে নিম্নোক্ত পরীক্ষাসমূহ সম্পন্ন করা হলো।
পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে ২-৩ মি.লি. লঘু HNO3 যোগ করে ঝাঁকানো হলো এবং ১-২ মি.লি. AgNO3 যোগ করা হলো
১। দধির ন্যায় সাদা অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল অধঃক্ষেপটি NH4OH দ্রবণসহ ঝাঁকানো হলো, ফলে উহা দ্রবীভূত হলো।
১। Cl (ক্লোরাইড) মূলক সুনিশ্চিত।
২। সামান্য নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে ২-৩ মি.লি. লঘু HNO3 যোগ করে ঝাঁকানো হলো। এতে ১-২ মি.লি. BaCl2 বা Ba(NO3)2 দ্রবণ যোগ করা হলো।
২। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
২। SO42- (সালফেট) মূলক নাই।
৩। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে সমপরিমাণ গাঢ় H2SO4 যোগ করে মিশ্রণটিকে ট্যাপের পানির ধারায় ভালভাবে ঠান্ডা করা হলো। এরপর অন্য একটি পরীক্ষানল হতে সদ্য প্রস্তুত FeSO4 দ্রবণ উক্ত মিশ্রণে ধীরে ধীরে নলের গা বেয়ে যো করা হলো।
৩। দুই তরলের মাঝখানে বাদামী বলয় উৎপন্ন হলো।
৩। NO3(নাইট্রেট) মূলক সুনিশ্চিত।।
৪। নির্যাস দ্রবণ দ্বারা CO32- মূলকের পরীক্ষা করা যায় না। শুষ্ক পরীক্ষা দ্বারা একে সুনিশ্চিত করতে হবে।*একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে তাতে লঘু HCl যোগ করা হলো।
৪। কোন গ্যাসের বুদবুদ (যা চুনের পানিকে ঘোলা করে) পাওয়া গেল না।
৪। CO32- (কার্বনেট) মূলক অনুপস্থিত।

সিদ্ধান্তঃ পরীক্ষণীয় নমুনায় উপস্থিত মূলক সমূহ নিম্নরূপঃ

ক্ষারকীয় মূলকঃ (Fe3+) (ফেরিক) মূলক।
                     (Ni2+  )(নিকেল) মূলক।
অম্লীয় মূলকঃ   (Cl)(ক্লোরাইড) মূলক।
                    (NO3) (নাইট্রেট) মূলক।

নমুনাঃ ৪

ভৌত অবস্থা
বর্ণঃ সাদা
গন্ধঃ অজৈব প্রকৃতির
অবস্থাঃ কঠিন দানাদার
দ্রাব্যতাঃ লঘু HClএ দ্রবণীয়

ক্ষারকীয় মূলকের শুষ্ক পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। টেস্টটিউব পরীক্ষাঃ একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমান শুষ্ক লবণ নিয়ে বুনসেন বার্নারের অনুজ্জ্বল শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
১। উত্তপ্ত অবস্থায় হলুদ ও শীতল অবস্থায় সাদা বর্ণ ধারণ করল।
১।Zn হতে পারে।
২। কার্বন বিজারণ পরীক্ষাঃ কার্বন খন্ডের গর্তে সামান্য নমুনা ও দ্বিগুন পরিমাণ Na2CO3 মিশ্রিত করে সামান্য পানি দ্বারা সিক্ত করে ফুঁৎনলের সাহায্যে বিজারণ শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
২। উত্তপ্ত অবস্থায় হলুদ ও শীতল অবস্থায় সাদা বর্ণের অবশেষ ধারণ করল।
২। Zn হতে পারে।
৩। কার্বন জারণ পরীক্ষাঃ কার্বন খন্ডের গর্তে সামান্য নমুনা ও দ্বিগুন পরিমাণ  Na2CO3 মিশ্রিত করে সামান্য পানি দ্বারা সিক্ত করে ফুঁৎনলের সাহায্যে জারণ শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
৩। অবিগলিত সাদা অবশেষ পাওয়া গেল।
৩। Mg হতে পারে।
৪। শিখা পরীক্ষাঃ গাঢ় HCl এ সিক্ত প্লটিনাম তারকে দীপ্তিহীন শিখায় উত্তপ্ত করে পুনরায় গাঢ় HCl দ্বারা সিক্ত করে তাতে সামান্য নমুনা লবণ লাগিয়ে দীপ্তিহীন শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
৪। খালি চোখে নীলাভ সাদা এবং নীল কাঁচের মাধ্যমে বর্ণহীন  দেখা গেল।
৪। Zn হতে পারে।
৫। সোডালাইম পরীক্ষাঃ একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ সোডালাইম সহ ভালভাবে উত্তপ্ত করলাম।
৫। কোন ঝাঁঝালো গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেল না।
৫। NH+4 নাই।

 

ক্ষারকীয় মূলকের সিক্ত পরীক্ষাঃ

মূল দ্রবণ প্রস্তুতিঃ একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে পাতিত পানি দ্বারা ঝাঁকিয়ে দ্রবীভূত করে দ্রবণ প্রস্তুত করলাম।

ক্ষারকীয় মূলক সমূহের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্তি করণঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ মূল দ্রবণ নিয়ে তাতে সামান্য লঘু HCl যোগ করলাম।
১। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
১।I নং গ্রুপ অনুপস্থিত।
২। উপরোক্ত দ্রবণকে মৃদু গরম করে তাতে সামান্য লঘু HCl ও H2S গ্যাস চালনা করলাম।
২। কালো বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
২। II গ্রুপ অনুপস্থিত।

বাধাদানকারী অম্লীয় মূলকের পরীক্ষাঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
(ক) একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ গ্রুপ II এর পরিশ্রুত দ্রবণকে ফুটিয়ে H2S দুরীভূত করে ২-৩ সি.সি. গাঢ় HNO3 ও অ্যামোনিয়াম মলিবডেট যোগ করে উত্তপ্ত করলাম।
(ক) কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
(ক)PO43-,AsO43- নাই।
(খ) একটি চিনামাটির বেসিনে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে ১ সি.সি. গাঢ় H2SO4 ও ৫সি.সি. ইথানল যোগ করে ভালভাবে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করলাম।এতে আগুন ধরিয়ে লক্ষ্য করলাম।
(খ) সবুজ অগ্নিশিখা দেখা গেল না।
(খ) BO33- নাই।

ক্ষারকীয় মূলক সমূহের অন্যান্য গ্রুপে বিভক্তি করণঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
৩। গ্রপ II এ প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণকে ফুটিয়ে H2S দুরীভূত করে তাতে ৪-৫ ফোঁটা লঘু HNO3 যোগ করে ফুটানো হলো। পরে তাতে কঠিন NH4Cl যোগ করে ঝাঁকানো হলো এবং NH4OH যোগ করা হলো।
৩। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৩। IIIA গ্রুপ অনুপস্থিত।
৪। উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত অধঃক্ষেপ ফিল্টার করে প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণে  NH4Cl ও NH4OH যোগ করে ঝাঁকানোর পর তাতে H2S গ্যাস চালনা করা হলো।
৪। সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
৪। IIIB গ্রুপ অনুপস্থিত।
৫।উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত দ্রবণকে তাপ দ্বারা ফুটিয়ে H2S দূর করা হলো এবং তাতে  NH4ClNH4OH ও (NH4)2CO3 দ্রবণ যোগ করা হলো।
৫।কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৫। গ্রুপ IV অনুপস্থিত।
৬।উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত দ্রবণকে দুইভাগ করে প্রথম ভাগে সামান্য NH4Cl ও NH4OH যোগ করে তাতে Na2HPO4 যোগ করে ঝাঁকানো হলো। অপর অংশে পটাশিয়াম পাইরো এন্টিমোনেট যোগ করা হলো
৬।(ক) সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
৬।(ক)Mg2+ সুনিশ্চিত।
(খ) কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৬।(খ) Na+ অনুপস্থিত।
৭।একটি টেস্টটিউবে খুব অল্প পরিমাণ মূল দ্রবণ নিয়ে তাতে ১-২ সি.সি. নেসলার বিকারক যোগ করা হলো।
৭। কোন অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হলো না।
৭। NH4+ নাই।

ক্ষারকীয় মূলকসমূহের সুনিশ্চিত পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। গ্রুপ IIIB তে প্রাপ্ত সাদা অধঃক্ষেপকে NH4OH যোগ করে ঝাঁকানো হলো। তাতে সামান্য পরিমাণ লঘু CH3COOH যোগ করে এর মধ্যে K4[Fe(CN)6] দ্রবণ যোগ করা হলো।
১। সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
১। Zn2+ সুনিশিচত।

অম্লীয় মূলক সমূহের শুষ্ক পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে লঘু HCl যোগ করা হলো।
১। বর্ণহীন গ্যাসের বুদবুদ উৎপন্ন হলো যা পরিষ্কার চুনের পানিকে ঘোলা করল।
১। CO32- (কার্বনেট) মূলক সুনিশিচত।
২।একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে গাঢ় H2SO4 যোগ করে তাপ দেওয়া হলো।
২। সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি হলো না।
২। Cl (ক্লোরাইড) মূলক নাই।
৩। একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে গাঢ় H2SO4 ও কপার চুর্ণ যোগ করে উত্তপ্ত করা হলো।
৩। বাদামী ধোঁয়া উৎপন্ন হলো না।
৩। NO3 (নাইট্রেট) মূলক অনুপস্থিত।
৪। সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ, দ্বিগুণ পরিমাণ Na2CO3 এর সাথে মিশ্রিত করে চারকোল ব্লকে বিজারণ শিখায় উত্তপ্ত করে বিগলিত বস্তুতে লঘু যোগ করা হলো।
৪। পচা ডিমের ন্যায় গন্ধযুক্ত গ্যাস বের হলো।
৪। SO42- (সালফেট) মূলক থাকতে পারে।

অম্লীয় মূলক সমূহের সিক্ত ও সুনিশ্চিত পরীক্ষা:

    অম্লীয় মূলকের সুনিশ্চিত পরীক্ষার জন্য Na2CO3দ্বারা নমুনা লবণের নির্যাস দ্রবণ প্রস্তুত করা প্রয়োজন। একটি বিকারে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে তার চারগুণ পরিমাণ Na2COযোগ করা হলো। পরে এতে পাতিত পানি যোগ করে উত্তমরূপে ১০/১৫ মিনিট ফুটানো হলো। এবার মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করে ফিল্টার করা হলো। প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণই নির্যাস দ্রবণ।এই দ্রব্ণ নিয়ে নিম্নোক্ত পরীক্ষাসমূহ সম্পন্ন করা হলো।
পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে ২-৩ মি.লি. লঘু HNO3 যোগ করে ঝাঁকানো হলো এবং ১-২ মি.লি. AgNO3 যোগ করা হলো
১। কোন অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হলো না।
১। Cl (ক্লোরাইড) মূলক নাই।
২। সামান্য নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে ২-৩ মি.লি. লঘু HNO3 যোগ করে ঝাঁকানো হলো।এতে ১-২ মি.লি. BaCl2 বা Ba(NO3)2 দ্রবণ যোগ করা হলো।
২। সাদা অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল যা লঘু এ অদ্রবণীয়।
২। SO42- (সালফেট) মূলক সুনিশ্চিত।
৩। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে সমপরিমাণ গাঢ় H2SO4 যোগ করে মিশ্রণটিকে ট্যাপের পানির ধারায় ভালভাবে ঠান্ডা করা হলো। এরপর অন্য একটি পরীক্ষানল হতে সদ্য প্রস্তুত FeSO4 দ্রবণ উক্ত মিশ্রণে ধীরে ধীরে নলের গা বেয়ে যো করা হলো।
৩। দুই তরলের মাঝখানে কোন বাদামী বলয় উৎপন্ন হলো না।
৩। NO3(নাইট্রেট) মূলক নাই।
৪। নির্যাস দ্রবণ দ্বারা CO32- মূলকের পরীক্ষা করা যায় না। শুষ্ক পরীক্ষা দ্বারা একে সুনিশ্চিত করতে হবে।*একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে তাতে লঘু HCl যোগ করা হলো।
৪। বর্ণহীন গ্যাসের বুদবুদ (যা চুনের পানিকে ঘোলা করে) পাওয়া গেল।
৪। CO32- (কার্বনেট) মূলক সুনিশ্চিত।

সিদ্ধান্তঃ পরীক্ষণীয় নমুনায় উপস্থিত মূলক সমূহ নিম্নরূপঃ

ক্ষারকীয় মূলকঃ (Zn2+) (জিংক) মূলক।
                    (Mg2+) (ম্যাগনেশিয়াম) মূলক।
অম্লীয় মূলকঃ   (CO32+)(কার্বনেট) মূলক।
                    (SO42-) (সালফেট) মূলক।

নমুনাঃ ৫

ভৌত অবস্থা
বর্ণঃ সাদা
গন্ধঃ অজৈব প্রকৃতির
অবস্থাঃ কঠিন ও দানাদার
দ্রাব্যতাঃ পাতিত পানিতে দ্রবণীয়

ক্ষারকীয় মূলকের শুষ্ক পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। টেস্টটিউব পরীক্ষাঃ একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমান শুষ্ক লবণ নিয়ে বুনসেন বার্নারের অনুজ্জ্বল শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
১। উত্তপ্ত অবস্থায় গাঢ় বাদামী ও শীতল অবস্থায় হালকা বাদামী বর্ণ ধারণ করল।
১।Cd হতে পারে।
২। কার্বন বিজারণ পরীক্ষাঃ কার্বন খন্ডের গর্তে সামান্য নমুনা ও দ্বিগুন পরিমাণ Na2CO3 মিশ্রিত করে সামান্য পানি দ্বারা সিক্ত করে ফুঁৎনলের সাহায্যে বিজারণ শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
২। বাদামী বর্ণের আস্তরণ পাওয়া গেল।
২। Cd হতে পারে।
৩। শিখা পরীক্ষাঃ গাঢ় HCl এ সিক্ত প্লটিনাম তারকে দীপ্তিহীন শিখায় উত্তপ্ত করে পুনরায় গাঢ় HCl দ্বারা সিক্ত করে তাতে সামান্য নমুনা লবণ লাগিয়ে দীপ্তিহীন শিখায় উত্তপ্ত করলাম।
৩। খালি চোখে সোনালী হলুদ এবং নীল কাঁচের মধ্য দিয়ে বর্ণহীন দেখা গেল।
৩।Na হতে পারে।
৪। সোডালাইম পরীক্ষাঃ একটি টেস্টটিউবে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ সোডালাইম সহ ভালভাবে উত্তপ্ত করলাম।
৪। কোন ঝাঁঝালো গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গেল না।
৪। NH+4 নাই।

ক্ষারকীয় মূলকের সিক্ত পরীক্ষাঃ

মূল দ্রবণ প্রস্তুতিঃ একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে পাতিত পানি দ্বারা ঝাঁকিয়ে দ্রবীভূত করে দ্রবণ প্রস্তুত করলাম।

ক্ষারকীয় মূলক সমূহের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্তি করণঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ মূল দ্রবণ নিয়ে তাতে সামান্য লঘু HCl যোগ করলাম।
১। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
১।I নং গ্রুপ অনুপস্থিত।
২। উপরোক্ত দ্রবণকে মৃদু গরম করে তাতে সামান্য লঘু HCl ও H2S গ্যাস চালনা করলাম।
২। হলুদ বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
২। গ্রুপ II  উপস্থিত।

বাধাদানকারী অম্লীয় মূলকের পরীক্ষাঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
(ক) একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ গ্রুপ II এর পরিশ্রুত দ্রবণকে ফুটিয়ে H2S দুরীভূত করে ২-৩ সি.সি. গাঢ় HNO3 ও অ্যামোনিয়াম মলিবডেট যোগ করে উত্তপ্ত করলাম।
(ক) কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
(ক)PO43-,AsO43- নাই।
(খ) একটি চিনামাটির বেসিনে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে ১ সি.সি. গাঢ় H2SO4 ও ৫সি.সি. ইথানল যোগ করে ভালভাবে মিশ্রিত করে পেস্ট তৈরি করলাম।এতে আগুন ধরিয়ে লক্ষ্য করলাম।
(খ) সবুজ অগ্নিশিখা দেখা গেল না।
(খ) BO33- নাই।

ক্ষারকীয় মূলক সমূহের অন্যান্য গ্রুপে বিভক্তি করণঃ

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
৩। গ্রপ II এ প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণকে ফুটিয়ে H2S দুরীভূত করে তাতে ৪-৫ ফোঁটা লঘু HNO3 যোগ করে ফুটানো হলো। পরে তাতে কঠিন NH4Cl যোগ করে ঝাঁকানো হলো এবং NH4OH যোগ করা হলো।
৩। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৩। গ্রুপ IIIA অনুপস্থিত।
৪। উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণে  NH4Cl ও NH4OH যোগ করে ঝাঁকানোর পর তাতে H2S গ্যাস চালনা করা হলো।
৪। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৪। গ্রুপ IIIB উপস্থিত।
৫।উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত দ্রবণকে তাপ দ্বারা ফুটিয়ে H2S দূর করা হলো এবং তাতে  NH4ClNH4OH ও (NH4)2CO3 দ্রবণ যোগ করা হলো।
৫। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৫। গ্রুপ IV অনুপস্থিত।
৬।উপরোক্ত পরীক্ষায় প্রাপ্ত দ্রবণকে দুইভাগ করে প্রথম ভাগে সামান্য NH4Cl ও NH4OH যোগ করে তাতে Na2HPO4 যোগ করে ঝাঁকানো হলো। অপর অংশে পটাশিয়াম পাইরো এন্টিমোনেট যোগ করা হলো
৬।(ক)কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
৬।(ক)Mg2+ অনুপস্থিত।
(খ) সাদা বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
৬।(খ) Na+ সুনিশ্চিত।
৭।একটি টেস্টটিউবে খুব অল্প পরিমাণ মূল দ্রবণ নিয়ে তাতে ১-২ সি.সি. নেসলার বিকারক যোগ করা হলো।
৭। কোন অধঃক্ষেপ উৎপন্ন হলো না।
৭। NH4+ নাই।

ক্ষারকীয় মূলকসমূহের সুনিশ্চিত পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। গ্রুপ II এ প্রাপ্ত হলুদ অধঃক্ষেপকে লঘু HNO3 সহ তাপ দ্বারা ফুটিয়ে দ্রবীভূত করা হলো এবং তাতে NH4OH যোগ করে H2S গ্যাস চালনা করা হলো।
১। পুনরায় হলুদ বর্ণের অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল।
১। Cd2+ সুনিশ্চিত।

অম্লীয় মূলক সমূহের শুষ্ক পরীক্ষা:

পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে লঘু HCl যোগ করা হলো।
১। কোন গ্যাসের বুদবুদ উৎপন্ন হলো না।
১। CO32- (কার্বনেট) মূলক অনুপস্থিত।
২।একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে গাঢ় H2SO4 যোগ করে তাপ দেওয়া হলো।
২। সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি হলো, NH4OH দ্বারা সিক্ত কাঁচদণ্ডের সাথে গাঢ় সাদা ধোঁয়ার সৃষ্টি করল।
২। Cl (ক্লোরাইড) মূলক থাকতে পারে।
৩। একটি পরীক্ষানলে সামান্য নমুনা লবণ নিয়ে তাতে গাঢ় H2SO4 ও কপার চুর্ণ যোগ করে উত্তপ্ত করা হলো।
৩। বাদামী ধোঁয়া উৎপন্ন হলো।
৩। NO3 (নাইট্রেট) মূলক থাকতে পারে।
৪। সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ, দ্বিগুণ পরিমাণ Na2CO3 এরসাথে মিশ্রিত করে চারকোল ব্লকে বিজারণ শিখায় উত্তপ্ত করে বিগলিত বস্তুতে লঘু যোগ করা হলো।
৪। পচা ডিমের ন্যায় গন্ধযুক্ত গ্যাস বের হলো না।
৪। SO42- (সালফেট) মূলক অনুপস্থিত।

অম্লীয় মূলক সমূহের সিক্ত ও সুনিশ্চিত পরীক্ষা:

    অম্লীয় মূলকের সুনিশ্চিত পরীক্ষার জন্য Na2CO3দ্বারা নমুনা লবণের নির্যাস দ্রবণ প্রস্তুত করা প্রয়োজন। একটি বিকারে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে তার চারগুণ পরিমাণ Na2COযোগ করা হলো। পরে এতে পাতিত পানি যোগ করে উত্তমরূপে ১০/১৫ মিনিট ফুটানো হলো। এবার মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করে ফিল্টার করা হলো। প্রাপ্ত পরিশ্রুত দ্রবণই নির্যাস দ্রবণ। এই দ্রব্ণ নিয়ে নিম্নোক্ত পরীক্ষাসমূহ সম্পন্ন করা হলো।
পরীক্ষা
পর্যবেক্ষণ
মন্তব্য
১। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে ২-৩ মি.লি. লঘু HNO3 যোগ করে ঝাঁকানো হলো এবং ১-২ মি.লি. AgNO3 যোগ করা হলো
১। দধির ন্যায় সাদা অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল অধঃক্ষেপটি NH4OH দ্রবণসহ ঝাঁকানো হলো, ফলে উহা দ্রবীভূত হলো।
১। Cl (ক্লোরাইড) মূলক সুনিশ্চিত।
২। সামান্য নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে ২-৩ মি.লি. লঘু HNO3 যোগ করে ঝাঁকানো হলো। এতে ১-২ মি.লি. BaCl2 বা Ba(NO3)2 দ্রবণ যোগ করা হলো।
২। কোন অধঃক্ষেপ পাওয়া গেল না।
২। SO42- (সালফেট) মূলক নাই।
৩। একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নির্যাস দ্রবণ নিয়ে তাতে সমপরিমাণ গাঢ় H2SO4 যোগ করে মিশ্রণটিকে ট্যাপের পানির ধারায় ভালভাবে ঠান্ডা করা হলো। এরপর অন্য একটি পরীক্ষানল হতে সদ্য প্রস্তুত FeSO4 দ্রবণ উক্ত মিশ্রণে ধীরে ধীরে নলের গা বেয়ে যো করা হলো।
৩। দুই তরলের মাঝখানে বাদামী বলয় উৎপন্ন হলো।
৩। NO3(নাইট্রেট) মূলক সুনিশ্চিত।।
৪। নির্যাস দ্রবণ দ্বারা CO32- মূলকের পরীক্ষা করা যায় না। শুষ্ক পরীক্ষা দ্বারা একে সুনিশ্চিত করতে হবে।*একটি পরীক্ষানলে সামান্য পরিমাণ নমুনা লবণ নিয়ে তাতে লঘু HCl যোগ করা হলো।
৪। কোন গ্যাসের বুদবুদ (যা চুনের পানিকে ঘোলা করে) পাওয়া গেল না।
৪। CO32- (কার্বনেট) মূলক অনুপস্থিত।

সিদ্ধান্তঃ পরীক্ষণীয় নমুনায় উপস্থিত মূলক সমূহ নিম্নরূপঃ

ক্ষারকীয় মূলকঃ (Cd2+) (ক্যাডমিয়াম) মূলক।
                    (Na+  )(সোডিয়াম) মূলক।
অম্লীয় মূলকঃ   (Cl)(ক্লোরাইড) মূলক।
                    (NO3) (নাইট্রেট) মূলক।

No comments:

Powered by Blogger.