কালের কুলাচার
Mini Story
আরশি, বোন আমার, আমার জান! তুই কেন এত পরে জন্ম নিলি! কেন আর ক বছর
আগে নয়?
হায় খোদা! এ আমি কোন মসিবতে পড়লাম! একে আমি কী নামে আখ্যা দেব? এ
কীভাবে সম্ভব!? কেউ তো বিশ্বাসও করবে না। আমি কি পারব তোর জন্য এক যুগ অপেক্ষা
করতে? যদি না পারি তুই তো আবার আমাকে বেইমান ভাববি না? হায় আল্লাহ! এখন আমি কি
করি? আমার চোখে কেন পানি! বুকে কেন কাঁপন!! আমি কেন তোর কথা ভুলতে পারি না! কেন
তুই আসিস আমার স্বপ্নে! যে স্বপ্ন বাস্তব নয়- হবেও না কোন দিন- আমি তোকে স্বপ্নে দেখতে
চাই না- সে স্বপ্নে তুই আমাকে পুড়িয়ে মারবি না!
তোর তো কোন দোষ নেই- তোকে কেন দুষছি- দোষ তো আমার- কমিনা কমজোর
বেলাল্লা মনের। কেন তোকে মনে করছি তুই হবি আমার সেই অচেনা রাজকন্যা যাকে আমার রক্ত
চেনে, যে আমার অপেক্ষায় প্রহর গোনে, যার জন্য ফেরারি মন আমার। জানি না তুই আমার
আচরণ নিয়ে কি ভাবিস; ভাবার বয়সও হয়তো হয়নি- না কি হয়েছে?- বিজ্ঞজনেরা তো বলেন,
মেয়েরা নাকি পুতুলের খেলাঘর গড়তে গড়তেই মনের গহিন কোণে গড়ে তোলে বাস্তব জীবনের
কল্পিত ঘর! তোরও তো এখন খেলাঘর গড়ার বয়স- গড়িসও- তুইও কি স্বপ্ন দেখিস ভবিষ্যতের
বাস্তবজীবনের খেলাঘর আর তাতে কি তুই আমাকেই বানাস সেই দোরঘরের মালিক?
কতই বা বয়স তোর?- আট কি নয়। তোর কাছে কতবার আমি
অস্থির হয়ে জানতে চেয়েছি- তোর বয়স কত, তোর বয়স কত? তুই বারবার চোখ মটকিয়ে বলিস-
আট, আট, আট! অথচ অরুনীর বয়স সাত পেরিয়েছে পাঁচ ছ মাস আগেই। দাঁত তো পড়ে সাতে,
নাকি, আগে পরে? হিসাবের বৈঠা যতই বাইনা কেন নয়ের ঘর ডিঙাবে না তোর বয়সের ডিঙি-নাও।
অথচ আমার সতের-আঠারোর ময়ূরপঙ্খী কী উদ্দামের বয়ে চলে ¯স্রোতের বিপরীতে! তোর ডিঙি
তো আমার ঝিলমিল করা ময়ূরপঙ্খীর.........................................Next
No comments: